নিজস্ব প্রতিবেদক

 উখিয়ায় পাওনা টাকা না দেওয়ার ফন্দি এঁটেছে টাইপালং এলাকার জসিম উদ্দিনসহ তিন সহোদর। উখিয়া থানায় প্রতারণা ও আত্মসাৎ দন্ড বিধিতে দায়েরকৃত এক অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় ডেকে পাঠানো হয় টাইপালং পুয়া ফকিরের বাড়ির পাশের শামসুল আলমের পুত্র জসিম উদ্দিনসহ তিন ভাইকে। 

এদিকে থানা পুলিশের তদন্তকারী দারোগার সম্মুখে টাকা নেওয়ার স্টাম্পসহ সকল ডকুমেন্ট ও সাক্ষী হাজির করা হয়। জসিমও টাকা নেওয়ার কথা অকপটে স্বীকার করেন। পুলিশের তদন্তক্রমে মিমাংসায় দেনাদার কামালকে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হলে স্থানীয় উখিয়ার টিএন্ডটি এলাকার পাওনাদার কামাল উদ্দিনকে পাওনা ১২ লক্ষ টাকা উসল করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাইফুল সিকদারসহ স্থানীয় তিন ব্যক্তি থানা পুলিশের কাছ থেকে বিষয়টি নিজেরা জিম্নায় নেন। পরে উখিয়ার গরু বাজার সড়কে বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত মতে ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে ৫ পাঁচ লক্ষ টাকা পরিশোধের তারিখ নির্ধারণ করা  ছিল। কিন্তু টাকা পরিশোধের কথা বলে ডেকে নিয়ে শামসুল আলম প্রকাশ পাগলা শামসুর ছেলে জসিম, সেলিম ও ইব্রাহিম মিলে পাওনাদার কামাল উদ্দিনকে বেদম মারধর করেছে বলে জানা গেছে। 

এদিকে ঘর নির্মাণের জন্য ও টাকা গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে পরিশোধের কথা বলে ননজুডিশিয়াল স্টাম্পে দস্তখত করে সাক্ষীদের সম্মুখে নগদ টাকা গ্রহণের পর টাকাগুলো না দেওয়ার ফন্দি আঁটছে জসিমসহ তারা তিন ভাই। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইনে মিথ্যা, বিভ্রান্তি ও মানহানিকর অপবাদ ছড়াচ্ছে। টাকা না দিতে তারা সাইফুল সিকদারসহ জিম্মাদারদেরকেও বশে আনার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। কামাল উদ্দিন বলেন, আমি জসিমকে তার ঘর নির্মাণের জন্য টাকাগুলো দিয়ে অযথা খাল কেটে কুমির আনার মত কাজ করে মারাত্মক ভুল করেছি। আমি আমার টাকগুলো ফেরৎ চাই।

জানা যায়, উখিয়ার টাইপালং এলাকার লম্পট প্রতারক ওই জসিম টাকাগুলো নেওয়ার আগে কতই যে কাকুতি মিনতি করেছিলেন, যেন তিনি একজন মাটির মানুষ। টাকা পরিশোধের সময় আসার পর আমার বুঝতে আর বাকী নেই যে, জসিমরা যে কত বড় লম্পট। তাই ব্যবসায়ী ও সকল ভাইদেরকে সরল বিশ্বাসে প্রতারক জসিমদের খপ্পরে পা না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ভূক্তভোগী কামাল উদ্দিন।  #