এ কে এম আজাদ বিশেষ প্রতিনিধি 

কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলায় অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ সিন্ডিকেট তৈরি করে চালাচ্ছেন অবৈধ মাটি ব্যবসা আইনশৃঙ্খলার বাহিনীকে কিছুই  মনে করেন তারা,  ঐক্যবদ্ধ সিন্ডিকেটের যেনো বেজায় ক্ষমতা তোয়াক্বার”টুকু করে না।  আইনশৃঙ্খলা বাহীনীদের কে যখন তখন এমন কি সাংবাদিক পুলিশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেরকেও পেটান ক্ষমতাবান মাটিকাটা সিন্ডিকেট।  সকল সময় তারা পেটাতে একটি বাহিনী তৈরি হয়েই থাকেন,  পরিবেশ ধ্বংস করা সহ রাস্তা ঘাট, বাড়ি ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করলে ও কেউ তাদেরকে কিছুই বলতে পারেনা।  কেউ কিছু বললেই সিন্ডিকেট চক্র চালায় অমানবিক নির্যাতন , কুমিল্লার প্রায় প্রত্যেকটি উপজেলায় এমন কি সদর দক্ষিণ  উপজেলার প্রায় শতাধিক মাটি ব্যবসায়ী সবাই ঐক্যবদ্ধ সিন্ডিকেট হয়েছেন । 

৫ই  আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে অবৈধ মাটি ব্যবসা বন্ধ হয়নি বরং ব্যক্তি পরিবর্তন হয়েছে আরও ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়েছে।  ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগের চেয়ে ব্যবসায়ী বেশি হয়ে গড় তুলেছেন ঐক্যবদ্ধ সিন্ডিকেট।  দৌড়াত্ব্য বেড়েই চলছে এই সিন্ডিকেটের লাগামহীন ,  অনুসন্ধানে দেখা যায় কুমিল্লা জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় ড্রেজার মেশিন দ্বারা মাটিকাটা, ফসলের জমি বিনষ্ট করা, যেন মাটি কাটার এক মহা উৎসব চলছে ।  অবৈধ সব মাটি যায় ব্রিক-ফিল্ডে ,  এই সিন্ডিকেটকে দমানো যাচ্ছেন না কোন ভাবেই, জরিমানা করেও দমানো যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, ইউএনও, এসিল্যান্ড ও সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলার বাহিনীরা। এই সব মাটি ব্যবসায়ীরা গা শিউরে উঠার মতোনও ঘটনা ঘটান তারা, তাদের মাটির গাড়ির সামনে সাংবাদিক, পুলিশ কিংবা কেহ দাঁড়াতে সংকেত দিলেও মাটিবাহী ট্রাক চাপা দেওয়া সহ বাড়ি মেরে চলে যেতে বলে দিয়ে রেখেছেন অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীরা বলে জানিয়েছেন ট্রাক চালক রহিম উদ্দিন, কাজল মিয়া’সহ করিম উল্লাহ্’রা। কারণ জানতে চাইলে গাড়ি ধরে নিয়ে গেলে ছাড়িয়ে আনতে লক্ষাধিক টাকা গুনতে হয় তাই ২/১ জনকে মেরে ফেললে ৫০ হাজার থেকে লক্ষ টাকা"র মধ্যে অ্যাকসিডেন্ট বলে চালিয়ে দেয় তখন আর কেহ কোন সমস্যা করেন না ভয়ে। তারা আরও জানান যে আপনাদের মতন সাংবাদিকরাও এই ব্যবসার সাথে শেয়ার আছেন আবার কেহ রোজকার বেতনে লাইনম্যানের কাজও করেন!

সম্প্রতি এমনি এক ঘটনা গত ১৭/১২/২০২৪ ইং তারিখ শুক্রবার  অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদেরকে ধরতে রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার এসিল্যান্ড সৈয়দ রেফাঈ আবিদ অভিযানে নামেন তখন কয়েকটি স্পট থেকে ০৩ টি মাটিবাহী ট্রাক আটক করে উপজেলায় পাঠিয়ে অন্য স্পটের যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলে অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীরা এসিল্যান্ড এর সাথে থাকা গাড়ি গুলির গতিবিধি লক্ষ করে জোড়কানন মথুরাপুর বাজারের পশ্চিম এলাকায় এসে পৌঁছালে ৩০/৩৫ টি মটর সাইকেল এসে গতিরোধ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপরে অতর্কিত হামলা চালান। উক্ত বিষয়ে ২৪ জনকে এজাহার নামীয় আসামি ও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাত করে  কুমিল্লা  সদর দক্ষিণ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও সদর দক্ষিণ উপজেলা এসিল্যান্ড। উক্ত ঘটনা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই কুমিল্লা প্রশাসনের কাছে মাটি ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। ইতঃপূর্বেও সকল অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছেন জেলা প্রশাসক। যত অভিযোগ আসবে সব অভিযোগের নিষ্পত্তি করবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।

আর সব অবৈধ মাটি যায় অবৈধ ব্রিক-ফিল্ড চৌধুরি ব্রিক-ফিল্ড  সহ অন্যান্য ব্রিক-ফিল্ডে ইতিমধ্যে চৌধুরি ব্রিক-ফিল্ডে যৌথবাহিনী নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসন, অভিযান পরিচালনা করে রীতিমতো হতভম্ব হওয়ার মতো এই ব্রিক-ফিল্ডের পরিবেশ থেকে শুরু করে কোন কাগজ পত্রই নেই, এভাবে যদি অন্যান্য ব্রিক ফিল্ড গুলোতে অভিযান চালিয়ে সকল কাগজপত্র পরীক্ষার নিরীক্ষা করেন, অধিকাংশই ব্রিক ফিল্ডের অনুমতি পত্র কাগজ পাওয়া যাবে না । এতো বছর অবৈধ ভাবে পরিবেশ, রাস্তা ও ফসলি জমি সহ আশ-পাশের বাসতিদের ক্ষতি করে আছেন এই ব্রিক-ফিল্ড গুলি ,  তার আর কি গুড়িয়ে দিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।