ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের পাহাড়ী জনপদ ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের হিমছড়ি ও পানেরছড়া ঢালায় গুচ্ছ গ্রাম বসানোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী সহ চলাচলরত পথচারীরা। চরম আতংকে তিন ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিকেরও বেশি লোকজন। 

সড়কের উল্লেখিত ঢালাগুলোতে জন্মলগ্ন থেকেই ডাকাতি, ছিনতাই,খুন, অপহরণসহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ঘটে চলছে।কোন ভাবে তা প্রতিরোধ করা যাচ্ছেনা। বরং দিন দিন আগের তুলনায় বেড়েই চলছে।

দিন কিংবা সন্ধ্যা অথবা রাতে যখন তখন ডাকাতরা সড়কে চলাচলকৃত যাত্রীদের আটকিয়ে সব কিছু লুটে নিচ্ছে। শুধু তা নয় অপহরণ করে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মুক্তিপন হিসাবে। অপরদিকে অনেককে ব্যাপক মারধর করে বেশ কয়দিন টাকার জন্য জঙ্গলে আটকিয়ে রাখে। এছাড়া উক্ত সড়কে ডাকাতের গুলিতে অনেকে নিহত হয়েছেন। আবার অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। ডাকাত চক্রের কবল থেকে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষরাও রেহায় পাচ্ছেনা। জিম্মি হয়ে পড়েছে দীর্ঘকাল। উল্লেখ্য, জনসাধারণের পাশাপাশি পানের ছড়া ঢালায় ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পে দায়িত্বরত নায়ক শুসময় চাকমা ডাকাতের গুলিতে নিহত হয়েছিল।

ডাকাতি প্রতিরোধে ঈদগড় বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সভা, সমাবেশ ও মানববন্ধনও করেছেন এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ। এমনি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সময় বেধে দেয় জনসাধারণ চলাচলের জন্য। এ সময়ে পুলিশও টহল দেয় ডাকাতি বন্ধ করার জন্য। এত কিছুর পরও থেমে নেই ডাকাতি।

যুগের পর যুগ ধরে ডাকাতের কবলে পড়ে ঈদগড়-ঈদগাঁও-বাইশারী এলাকার লোক জন সর্বশ্ব হারাচ্ছে। লিখে শেষ করা যাবে না। ইতিপূর্বে ঢালাগুলোতে পুলিশি ট্রেনিং সেন্টার, সেনাবাহিনী ক্যান্টেনম্যান্ট করার কথা হলেও তা এখনো বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশ লোকজন।

প্রতিক্ষণে প্রতিমুহূর্তে আতংকে জীবন যাপন করছেন তিন ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। বিশেষ করে বর্তমানে সন্ধ্যা হলে নেমে আসে জনজীবনে চরম আতংক। এভাবে আর কতদিন, কতকাল, কতবছর ও কতযুগ আতংকে দিন কাটাবে তা কারো জানা নেই। কবে নাগাদ এসব থেকে মুক্তি পাবে লোকজন। কারো কাছে এসব প্রশ্নের উত্তর নেই।

পথচারীরা জানান, ঈদগড়-ঈদগাঁও ও বাইশারী সড়কটি দীর্ঘ বছর ধরে ডাকাত এবং অপহরন চক্রের থাবা থেকে মুক্তি পাচ্ছেনা। সড়কটি কিছুদিন ভাল থাকলেও হঠাৎ করে বেপরোয়া হয়ে উঠে।

এলাকার সচেতন মহল মনে করেন ডাকাতি,অপহরন ও অপরাদ অপকর্ম বন্ধে ঢালাগুলোতে অতিসত্বর গুচ্ছ গ্রাম বসানোর ব্যবস্থা করা হউক।